সোমবার সামাজিকমাধ্যম এক্সের অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতিতে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ এসব কথা বলেন। খবর আনাদোলুর।
তিনি বলেন, ‘ইসরাইল যুদ্ধবিরতি করবে না। আমরা হামাসকে ধ্বংস করব এবং সমস্ত বন্দিদের ঘরে ফিরে না আসা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।’
আনাদোলুর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে,
সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইসলামিক পবিত্র মাস রমজানে গাজায়
যুদ্ধবিরতির দাবিতে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। পবিত্র এই মাসটি মধ্যপ্রাচ্যে
গত ১১ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে এবং আগামী ৯ এপ্রিল শেষ হতে পারে।
কাউন্সিলের ১০ জন নির্বাচিত সদস্যের উপস্থাপিত এই রেজোলিউশনের পক্ষে ১৪টি দেশ ভোট দিয়েছে। অন্যদিকে সেখানে একমাত্র দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ভোটদান থেকে বিরত ছিল। এছাড়া প্রস্তাবটির বিপক্ষে কোনো যুক্তি উপস্থাপন বা ভেটো ক্ষমতারও প্রয়োগ করেনি পরাশক্তি এই দেশটি।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলের দূত গিলাদ এরদান দাবি করেছেন, জাতিসংঘের এই প্রস্তাব গাজা থেকে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি ‘নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকে দুর্বল করবে’।
আনাদোলু বলছে, জাতিসংঘের এই রেজোলিউশনে
‘পবিত্র রমজান মাসের জন্য সব পক্ষকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো
হয়েছে। যা পরে একটি স্থায়ী টেকসই যুদ্ধবিরতির দিকে পরিচালিত হবে।’
এই প্রস্তাবে ‘সমস্ত বন্দির অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত মুক্তির পাশাপাশি তাদের চিকিৎসা এবং অন্যান্য মানবিক চাহিদা পূরণের জন্য মানবিক সহায়তার প্রবেশ নিশ্চিত করার’ দাবিও করা হয়েছে। এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি বর্বর হামলায় আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ৩২ হাজার ৩৩৩ জনে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ১০৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং বর্বর হামলায় আরও ১৭৬ জন আহত হয়েছেন।