শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় অফিসার্স ও ফোর্সদের সঙ্গে কথা বলেন জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদুল আমিন শেখ। এ সময় তিনি থানার ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, দেশের শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ করছে। ফরিদপুরের সকল থানায় পুলিশ সদস্যরা নির্বিঘ্নে নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মানুষের সেবার কাজে ভূমিকা রাখতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা তাদের সহযোগিতা করছি। ইতোমধ্যেই জেলার প্রত্যেকটি থানায় স্বল্প পরিসরে কাজ শুরু হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, আমরা যতো দ্রুত সম্ভব চেষ্টা করছি মানুষের সেবা দেয়া কাজ শুরু করতে। প্রত্যেকটি সিনিয়র অফিসার ফোর্সের মনোবল ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে তাদের সঙ্গে বারবার কথা বলছি।
তিনি আরও বলেন, জেলার নয়টি থানার মধ্যে ফরিদপুর সদর, মধুখালী ও সদরপুর থানায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সকল থানার ভবন ও সরকারি মালামাল পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে অবশিষ্ট কিছু নেই, নেই মামলার নথিপত্র, অস্ত্র লুট হয়েছে। লুট হওয়া অস্ত্রগুলো উদ্ধারে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এসময় কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীসহ থানার সকল অফিসার্স ও ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।