এতে বলা হয়, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ উৎপাদক যুক্তরাষ্ট্রে সয়াবিনের উৎপাদন বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এছাড়া বিশ্ববাজারে মজুত বেড়েছে। ফলে ভোজ্যতেল তৈরির মূল উপকরণটির মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
আলোচ্য কার্যদিবসে সিবিওটিতে সবচেয়ে সক্রিয় সয়াবিনের দরপতন ঘটেছে এক লাফে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। প্রতি বুশেলের দাম স্থির হয়েছে ১১ ডলার ৯১ সেন্টে। ২০২০ সালের নভেম্বরের পর যা প্রায় সবচেয়ে কম। আগের দিন তা ছিল ১১ ডলার ৯২ সেন্ট।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী দিনগুলোতে সয়াবিনের দর আরও কমতে পারে। সিডনি-ভিত্তিক বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইকন কম্মোডিটিজের উপদেষ্টা সেবা পরিচালক ওলে হাউই বলেন, শিগগিরই সয়াবিনের দাম বাড়ার কোনো যুক্তি দেখছি না। কারণ, বৈশ্বিক বাজারে সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। এছাড়া চাহিদা তুলনামূলক দুর্বল আছে। ফলে সামনে আরও দর হারাতে পারে পণ্যটি।
কৃষি পণ্য ব্যবসা পরামর্শক আরেক বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান অ্যাগ্রোকনসাল্ট জানিয়েছে, চলতি বছর বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানিকারক ব্রাজিলে ১৫৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন সয়াবিন উৎপন্ন হতে পারে। জাতীয়ভাবে মাঠ জরিপ করার পর এর পূর্বাভাস বাড়ানো হয়েছে।
বুয়েন্স আয়ার্স গ্রেইনস এক্সচেঞ্জ জানিয়েছে, সম্প্রতি আর্জেন্টিনায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাতে দেশটিতে সয়াবিনের চাষ তরান্বিত হয়েছে। ফলে সেখানে কৃষিজ পণ্যটির উৎপাদন বাড়তে পারে। সার্বিকভাবে ভোজ্যতেল তৈরির মূল উপকরণটির দরপতন ঘটেছে।