জানা য্য়া, গত ৫ আগস্ট যশোর কোতোয়ালি এলাকায় আন্দোলনের সময় একটি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় ওই ভবনে আটকে দগ্ধ হন সাকিব (১৮) নামে এক শিক্ষার্থী। সেদিন রাতেই স্বজনরা সাকিবকে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে সাকিবের মৃত্যু হয়।
নিহত সাকিবের বাবা আলাল উদ্দিন জানান, ছেলের মরদেহ হাসপাতাল থেকে বের করতে বিপাকে পরতে হয় তাকে। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে তাদের প্রায় ৩ ঘণ্টা হয়রানি করা হয়। এছাড়া ট্রলিতে করে মরদেহ মর্গে নিয়ে আসার সময় টাকা দাবি করে ট্রলিম্যান। টাকার বিষয়ে মর্গে অফিসে দায়িত্বে থাকা খোকন লালকে দেখিয়ে দেয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক সদস্য মাহিম সরকার বলেন, আমাদের এক ভাই যশোরের আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন। স্বজনরা তার মরদেহ নিতে গিয়ে ঢাকা মেডিকেলে মর্গে হয়রানির শিকার হয়েছেন। এমনকি লাশ নিয়ে যেতে টাকাও দাবি করেন করেন এক স্টাফ। খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে আমরা তাকে আটকে ফেলি। এমনকি তার থেকে ১০ হাজার টাকারও বেশি উদ্ধার হয়। তার পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি। তিনি একজন ক্লিনার। সেনাবাহিনীকে খবর দিয়েছি। এছাড়া ঢাকা মেডিকেলের পরিচালককেও জানানো হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আব্দুর রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা খোকন লাল নামে এক স্টাফকে আটক করেছে। তাদের অভিযোগ মরদেহ নিতে স্বজনদের কাছে টাকা দাবি করেছে সে। তাদেরকে পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি।