ঢাকা | বঙ্গাব্দ

জ্যান্ত কুঁচিয়ার প্রবেশ পায়ুপথে,

মাছ ধরতে গিয়ে পায়ুপথ দিয়ে ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ (জেল ফিস) প্রবেশ করে পেটে, পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে অস্ত্রোপর করে সেই মাছ জ্যান্ত বের করা হয়।
  • আপলোড তারিখঃ 27-03-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 50498 জন
জ্যান্ত কুঁচিয়ার প্রবেশ পায়ুপথে, ছবির ক্যাপশন: সিলেট
alokmoybangladesh

সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে 'অবিশ্বাস্য' এক অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে গত ২৪ মার্চ। যা এ যাবৎকালের স্বরণীয় ঘটনা বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ওসমানী মেডিকেল সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা সম্ররামুন্ডা (৫৫) একজন রেজিস্ট্রার কার্ডধারী জেলে। তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে মাছ ধরে স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করেন। গত ২৩ মার্চ কমলগঞ্জ উপজেলার মিতিঙ্গগা চা বাগানের উপজাতি বাসিন্ধা ধনমুন্ডার ছেলে সম্ররামুন্ডা (৫৫) স্থানীয় হাওরে মাছ ধরতে গেলে হঠাৎ কোমর সমান কাদায় আটকে যান। তখন তার দুই হাতে থাকা দুটি কুঁচিয়া মাছের একটি পানিতে পড়ে যায় এবং আরেকটি কাদায় পড়ে। তখন তিনি অনুভব করেন তার পায়ু পথে কি যেন ডুকছে। তবে সেটিকে গুরুত্ব দেননি তিনি। পরে সম্ররা মুন্ডা সেখান থেকে উঠে বাড়িতে আসার পর তার পেটে প্রচুর ব্যথা অনুভব হয়।

২৪ মার্চ রবিবারে স্থানীয় হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ওসমানীর চিকিৎসকগণ তার কথা শুনে এক্সের মাধ্যমে পেটের ভিতর লম্বা আকৃতির একটি বস্তু দেখতে পান। কর্তব্যরত ডাক্তাররা সিনিয়দের সাথে আলাপ করে সম্ররা মুন্ডাকে সন্ধ্যায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। সেখানে প্রফেসর জানে আলমের নেতৃত্বে ৪ জন চিকিৎসক ২ ঘণ্টা অপারেশন চালিয়ে পেটের ভিতর থেকে একটি জীবন্ত কুঁচিয়া (জেল ফিস) মাছ বের করেন। এ ঘটনায় ডাক্তারা বিস্মিত হন। পরে পেটের ভিতর কুচিয়া মাছ জনসাধারণের মধ্যে জানাজানি হলে সিলেটজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

রবিবার রাতে সিওমেকের সার্জারি ইউনিট-২ প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী জানে আলমের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার করে ওই রোগীর পেট থেকে মাছটি বের করা হয়।

অস্ত্রোপচারে অংশগ্রহণ করেন সার্জারি ইউনিট-২ এর সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. রাশেদুল ইসলাম ও ডা. তৌফিক আজিজ শাকুর। 

এ ব্যাপারে ওসমানী মেডিকেলের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে অস্ত্রোপচার করে তার পেট থেকে জ্যান্ত ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ (জেল ফিস) উদ্ধার করা হয়েছে। এটা একটা অপ্রত্যাশিত ও কঠিন অপারেশন ছিল যা আমাদের টিম ভালোভাবে সম্পন্ন করেছে। রোগী পুরোপুরি সুস্থ আছেন। বর্তমানে সম্ররা মুন্ডা ওসমানী মেডিকেলের ১১নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানান তিনি।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ মোঃ রাশেদুল ইসলাম

কমেন্ট বক্স