দাম নিয়ে স্বস্তি নেই
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৬৫ টাকা বিক্রি হওয়ার কথা। তবে গতকাল রাজধানীর তিনটি বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, ৭৫০-৭৮০ টাকা কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। উত্তর শাহজাহানপুরের খলিল গোশত বিতানে রোজার শুরুর দিন থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৯৫ টাকা বিক্রি করা হচ্ছিল। তবে সে দোকানেও দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ওই দোকানে এখন গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৯৫ টাকায়।
একইভাবে খুচরা পর্যায়ে মসুর ডাল (মোটা) ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা, পাঙাশ মাছ (চাষের) প্রায় ১৮১ টাকা, কাতল মাছ (চাষের) প্রায় ৩৫৪ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা ও আলু প্রায় ২৯ টাকায় বিক্রির নির্দেশনা দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। কিন্তু বাজারে এসব পণ্য ৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
দাম বেঁধে দেওয়া ২৯ পণ্যের মধ্যে ১৩টির দর জানা যায় সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মূল্যতালিকা থেকেও। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে দুই ধরনের মসুর ডাল, ছোলা, খেজুর, আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, শুকনা মরিচ, গরুর মাংস, ছাগলের মাংস, ব্রয়লার মুরগি ও ডিম। টিসিবির হিসাবে ডিম, দেশি রসুন ও দেশি পেঁয়াজ ছাড়া বাকি পণ্য নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আলুর দাম নতুন করে কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি আলু ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হতো; এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর আলুর দাম নির্ধারণ করেছে প্রতি কেজি ২৮ টাকা ৫৫ পয়সা। টিসিবির গতকালের বাজারদরের তথ্যেও দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন আলুর দাম ১৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
এ ছাড়া বেড়েছে আমদানি করা রসুন ও জিরার দামও। রসুনের দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ২০০ টাকা। আর জিরার দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ৮০০ টাকা হয়েছে।
দিন দশেক আগে ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। এরপর বাজারে নতুন হালি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে দাম কমে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় নেমে আসে। গত দুই দিনে দেশি পেঁয়াজের দাম আবার বেড়ে ৫৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দাম কমেছে যেসব পণ্যের
ফার্মের বাদামি মুরগির ডিম বিক্রি হয় প্রতি ডজন ১২০ টাকায়। সপ্তাহখানেক আগে প্রতি ডজন ডিমের দাম ছিল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা।
রোজার শুরুতে বেড়ে যাওয়া আরও কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা কমায় ও সরবরাহ বেশি থাকায় এসব পণ্যের দাম কমেছে। যেমন রোজার শুরুতে মানভেদে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়; যা গতকাল ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একইভাবে টমেটো, শসা ও বেগুনের দামও কেজিতে ১৫-৩০ টাকা কমেছে। তবে লাউ, চালকুমড়া, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ অন্যান্য সবজি গত সপ্তাহের দামে অপরিবর্তিত রয়েছে।