ঢাকা | বঙ্গাব্দ

পবিত্র মাহে রমজানে রোজা রেখে মুখে দুর্গন্ধ হলে করণীয়

দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকার ফলে মুখে দুর্গন্ধ হয়। বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে একটানা রোজা রাখার কারণে শরীরে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়। এ কারণে মুখ শুকিয়ে যাওয়ায় নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হয়। এছাড়া সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ না করলেও রোজারত অবস্থায় মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
  • আপলোড তারিখঃ 28-03-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 50603 জন
পবিত্র মাহে রমজানে রোজা রেখে মুখে দুর্গন্ধ হলে করণীয় ছবির ক্যাপশন: সংগ্রহীত
alokmoybangladesh

রোজায় মুখে দুর্গন্ধের কারণ

দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকায় শরীরে শর্করা বিপাক কমে গিয়ে চর্বি বা ফ্যাট বিপাক বেড়ে যায়। ফলে মুখে গন্ধ হয়। আর রোজারত অবস্থায় মুখের লালাগ্রন্থি কম সচল থাকার কারণে লালা নিঃসরণ কমে যায়। এভাবে মুখের ব্যাকটেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। ফলে ব্যাকটেরিয়ার বাইপ্রোডাক্ট (উপজাত) থেকে মুখে গন্ধ আসে।

এছাড়া অনেকে সঠিকভাবে এ সময় মুখের পরিচ্ছন্নতাবিধি মেনে চলেন না বা মুখের ভেতর ভালো করে পরিষ্কার করেন না, যার কারণে দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে যায়।

রোজায় দাঁত মুখের যত্ন

সাধারণত আমরা দুই বেলা সকাল ও রাতে দাঁত ব্রাশ করে থাকি। সেক্ষেত্রে রমজানেও ইফতার ও সাহ্‌রির পর ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করা দরকার। ইফতারের পর না হলেও সন্ধ্যা রাতে দাঁত ব্রাহস করা জরুরি। তবে সাহরির পরপর ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ ও মুখের ভেতর ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। তাহলে মুখে জীবাণুর আধিক্য হ্রাস পাবে।


কয়েকটি বিষয় মেনে চললে রোজা রেখেও মুখের দুর্গন্ধ এড়াতে সম্ভব। চলুন জেনে নেই রমজানে মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে কী কী করা উচিত-

১. ইফতারের পর থেকে সাহ্‌রির আগ পর্যন্ত প্রচুর পানি পান করা উচিত। এছাড়া শরবত বা ইসুবগুলের ভুসিও খাওয়া যেতে পারে। এতে পেটও ভালো থাকবে।

২. গুল বা তামাক একদম খাওয়া উচিত নয়। ধূমপান ত্যাগ করা উচিত, কারণ ধূমপান মুখের দুর্গন্ধ বাড়ায়।

৩. দাঁত মাজার পর মুখ ধোয়ার জন্য মাউথওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।

৪. খাবারের অবশিষ্টাংশ দাঁতের গোড়ায় আটকে থেকে মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। এজন্য ফ্লস ব্যবহার করুন।

৫. অনেকেই জিহ্বা পরিষ্কার করেন না। এর ফলেও কিন্তু মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হতে পারে। তাই নিয়মিত জিহ্বা পরিষ্কার করাও জরুরি।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ মোঃ রাশেদুল ইসলাম

কমেন্ট বক্স