দুই ডেপুটি গভর্নর ও বিএফআইইউ প্রধান আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে পদত্যাগ করেন। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি উপদেষ্টা আবু ফারাহ মো. নাসের গভর্নর বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে পদত্যাগ করেন।
এর আগে দুপুর ১টার মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ ৪ কর্মকর্তাকে পদত্যাগের আলটিমেটাম দেন মহিউদ্দিন রনি নামে এক শিক্ষার্থী। এদিন দুপুর সাড়ে ১২দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ আলটিমেটাম দেন তিনি।
মহিউদ্দিন রনি বলেন, গত ৪ আগস্ট বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমান ইডিএফ ফান্ড থেকে ৩০ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের দোসরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দায়িত্বে থাকলে এভাবে দেশের অর্থ আরও লুটপাট হবে। তাদের হাতে টাকা গেলে তারা মানুষ এবং অস্ত্র কিনবেন। এতে দেশ অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে।
এর আগে ১১ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে পাঠানো এক নির্দেশনায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের পদত্যাগের পর ডেপুটি গভর্নরদের ওই থেকে গভর্নরের নিত্যদিনের কার্যকলাপ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব আফসানা বিলকিস স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গভর্নর এতদিন যেসব দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন ডেপুটি গভর্নররা তার অনুপস্থিতিতে এসব দায়িত্ব পালন করবেন। এদের মধ্যে বর্তমান ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার গভর্নরের দৈনিক ডাক বিভাগের দায়িত্ব পালন করবেন এবং প্রতিদিনকার চিঠিপত্র তার মাধ্যমেই অন্যান্য বিভাগে পাঠানো হবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়।