তিনি জানান, পাট ও পাটজাত পণ্যের বড় রপ্তানি বাজার হতে পারে দেশটি।
আজ সচিবালয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি ম্যান্টিটস্কির সাথে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই আশাবাদ জানিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বড় অবদান রয়েছে রাশিয়ার। রাশিয়া
আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। তারা আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এবং
যুদ্ধ পরবর্তী দেশ পুনর্গঠনে যেমন সহযোগিতা করেছে তেমনি বর্তমান সময়েও তা
অব্যাহত রেখেছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা
চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর রাশিয়ার
প্রেসিডেন্ট তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। রাশিয়ার সহযোগিতায় রূপপুর পারমানবিক
বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, দেশটিতে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে গুরুত্ব দিচ্ছে বস্ত্র
ও পাট মন্ত্রনালয়। এক্ষেত্রে দুই দেশে বাণিজ্য মেলা করার বিষয়ে আলাচনা
হয়েছে। এর পাশাপাশি রাশিয়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতা
অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বাংলাদেশের পাটখাতে রাশিয়ান বিনিয়োগ আসবে কিনা- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের
জবাবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বলেন, আলোচনা চলছে। তাদের ব্যবসায়িক
প্রতিনিধিরা আসছে। আশা করি, রাশিয়ার বিনিয়োগকারীরা পাটখাতে বিনিয়োগ করবে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ম্যান্টিটস্কি বলেন, অনেক বড় বড় কোম্পানি
রাশিয়া থেকে চলে গেছে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ। বিশেষ করে
আমরা বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস, ট্যোবাকো, কৃষি পণ্য ও চামড়াজাত পণ্য নিতে
চাই। পাট ও পাটজাত পণ্য নিয়েও যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে রাশিয়ার।
এসময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত সচিব তসলিমা
কানিজ নাহিদা, যুগ্ম সচিব গোপাল চন্দ্র দাস এবং ঢাকাস্থ রাশিয়ান দূতাবাসের
৩য় সচিব ওলেগ কোজিন উপস্থিত ছিলেন। (বাসস)