সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এ আদালত বলেছেন, ইসরাইলকে অবশ্যই ‘অবিলম্বে জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক পরিষেবা ও মানবিক সহায়তার বিধান’ অনুমোদন করতে হবে।
গাজায় কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে যেতে পারে— পর্যবেক্ষকদের এমন সতর্কতার পর এ আদেশ দিল আইসিজে।
যদিও সেনাবাহিনী গাজায় ত্রাণ প্রবেশ আটকে দিচ্ছে— এমন অভিযোগকে ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছে ইসরাইল।
এর আগে গত জানুয়ারিতে গাজায় গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইসরাইলকে আদেশ দিয়েছিল দ্যা হেগের এই আন্তর্জাতিক আদালত।
তবে আইসিজের আদেশ মানায় আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করার কোনো ক্ষমতা এ আদালতের নেই।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ও অন্যদের মাধ্যমে পরিচালিত ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ গত সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলেছে, গাজায় একটি ‘বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতির উদ্ভব হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার সবাই ‘উচ্চমাত্রার তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন’ আর মে মাস শেষ হওয়ার আগেই ভূখণ্ডটির উত্তরাংশে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে যাবে বলে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।