বুধবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে ধামরাই পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের মোকামটোলা এলাকার প্রবাসী ইব্রাহিম হোসেনের চারতলা ভবনের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন- ওই ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়া (৫৫), তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০), মেয়ে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিবিএসের শিক্ষার্থী নিশরাত জাহান সাথী (২২) ও ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী আল হাদী সোহাগ (১৮)। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
নুরুল ইসলামের ভাতিজা জানান, সেহরির সময় আমরা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের খবর পাই। চাচি সেহরি রান্না করতে উঠলে তখন হয়তো বিস্ফোরণ হয়েছে। আমরা এসে দেখি ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঘরের আসবাবপত্র সব পুড়ে গেছে। একটা মোটরসাইকেল ছিল ঘরে সেটিও বিস্ফোরণ হয়ে পুড়ে গেছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম জানান, দগ্ধ সুফিয়া বেগমের শরীরের ৮০ শতাংশ ও নুরুল ইসলাম নান্নুর ৪৮ শতাংশ আল হাদী সোহাগের ৩৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক। এছাড়া ওই দম্পতির মেয়ে নিশরাত জাহান সাথীর শরীরের ১৬ শতাংশ পুড়ে গেছে।
ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর রিফফাত আরা বলেন, ভোর রাত ৪টার দিকে আগুনে দগ্ধ চারজন রোগী রিসিভ করা হয়। তিনজনের অবস্থা সংকটাপন্ন থাকায় তাদের ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
ধামরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, ফ্ল্যাটটিতে দুটি গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। প্রাথমিক তদন্তে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ হয়েছে বলে ধারণা করছি। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে মনে হয়েছে।